মুর্শিদাবাদ ও নদিয়াতে হাইটেক ক্লাসরুম, ইংরাজী শিখছে পড়ুয়ারা
ইংরাজি ভাষা জানাটা এখন অত্যন্ত জরুরী। বিভিন্ন ধরনের ফর্ম ফিল-আপ থেকে শুরু করে উচ্চতর চাকরির ক্ষেত্রে এই ভাষার প্রাধান্য। তুলনামূলক ভাবে দেখা যায় যে গ্রামের ছাত্র/ ছাত্রীরা এইসব ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে, শহরের নামীদামী স্কুলের ছাত্র/ ছাত্রীদের সাথে। এইসব স্কুল গুলিতে অনেক টাকা মাসিক বেতন দিয়ে পড়তে হয়, যা গ্রামের দরিদ্র অথবা মধ্যবিত্ত বাবা-মায়েদের পক্ষে সম্ভব নয়। অথচ তাঁরাও স্বপ্ন দেখেন একদিন তাঁদের বাচ্চাটিও জীবনে ভালো ভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে। শুধুমাত্র ইংরেজিতে দক্ষতা না থাকার কারণে তারা পিছিয়ে পড়ে। তাহলে এই স্বপ্ন পূরণের উপায় কি?
আমরা আছি আপনার এলাকায় আপনার স্কুলে ছোটদের বন্ধু হিসাবে। আমরা Krishworks Technology and Research Labs (IIM Calcutta Innovation Park, Govt of India). আমরা একটি সফটওয়্যার আবিষ্কার করেছি,যার সাহায্যে বিভিন্ন জায়গাতে স্কুলে স্কুলে হাইটেক ইংলিশ প্লেগ্রাউন্ড তৈরী করা হয়। আর ছোট ছোট ছাত্র/ ছাত্রীরা সেখানে বিভিন্ন একটিভিটি নিয়ে খেলে , খেলতে খেলতে ভাবে, আর ভাবতে ভাবতে একদিন তারা ইংলিশে অনর্গল কথা বলতে পারে। শুধু তাই নয় কিছুদিনের মধ্যে স্টেজে মাইক হাতে স্পীচ দিতে থাকে। যা দেখে রীতিমতো আপনিও চমকে উঠবেন।
হ্যাঁ, বাস্তবে আমরা এটাই প্রমান করে দেখিয়েছি বারবার, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে বিভিন্ন স্কুলে। আর এখন সেই স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশ্যে আপনার শহর আপনার জেলা মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার বিভিন্ন স্কুলে স্কুলে চলছে আমাদের এই ক্লাসরুম গড়ার কাজ।
গ্রামের প্রতিটি বাচ্চার ইংরেজিতে মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বিগত কয়েক বছর ধরে আমরা কাজ করে চলেছি । সর্বপ্রথম একটি জায়গার স্কুল কিংবা বিশেষ প্রতিষ্ঠানে হাইটেক ক্লাস রুমের উপযুক্ত পরিবেশ করে গড়ে তোলা হয়। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মোবাইলে সফটওয়ারের মাধ্যমে বাচ্চাদেরকে শিক্ষা দানের উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরী করা হয়। স্থানীয় যুব সম্প্রদায়কে শিক্ষাদানের কাজে ব্যবহার করা হয়। এলাকার শিক্ষিত যুব সমাজকে হাইটেক ক্লাসের ট্রেনিং দেওয়া হয়।
তারপর তিনিই হয়ে ওঠেন ওই এলাকার হাইটেক ইংলিশ ক্লাস টিচার। একদিকে তিনিও যেমন আমাদের সফটওয়ারটা ব্যবহারের মাধ্যমে ইংরেজিতে পারদর্শী হয়ে ওঠেন, ওপর দিকে তাঁরই হাত ধরে গড়ে ওঠে এলাকারই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
ক্লাসের প্রথম থেকেই বাচ্চাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা হয়। ফনিক্সের হাত ধরে অভিষেক হয় আর ৬ থেকে ৭ দিন পরে দ্বিতীয় যে কোনো মানুষের সাথে কথা বলার ক্ষমতা গড়ে ওঠে। আমরা প্রমান করে দেখিয়েছি ইংরেজি না জানা একটি শিশু কিভাবে ৬ মাস পর স্টেজ দাঁড়িয়ে ইংলিশে স্পীচ দিতে পারে , শুধু স্পীচ নয় সমগ্র অনুষ্ঠানটা ইংরেজিতে পরিচালনা (Anchoring) করতে পারে।
শুধু কথা বলাই নয় “ফনিক্সে”র মাধ্যমে অল্প কয়েক দিনেই ইংরেজিতে দ্রুত গতিতে রিডিং পড়তে পারে বাংলার মতোই। শুধু তাই নয় ছোট ছোট বাচ্চারাও উঁচু ক্লাসের ইংরেজি বই অনায়সে পড়তে পারে , যা আজ আমাদের প্রতিটি সেন্টারে প্রমাণিত। নদিয়ার করিমপুর, ভীমপুর, পলাশীর পলশুন্ডা, ছোটনলদাহ, হাটগোবিন্দপুর সহ বিভিন্ন জায়গায়। এ ছাড়া মুর্শিদাবাদের নওদা, বেলডাঙা, আমতলা সহ বিভিন্ন জায়গাতে। আগামীদিনে আমরা আমাদের পরিষেবাকে এই জেলাগুলির প্রতিটি স্কুলে স্কুলে পৌঁছে দিতে চাই এলাকার শিশুদের ইংরেজিতে দক্ষ করে তোলার উদ্দেশ্যে এবং সাথে সাথে এলাকার যুব সম্প্রদায়ের মানোন্নয়ন ঘটানোর উদ্দেশ্যে।